f

নামাজে সুরা আগে-পরে হলে করণীয়

 কণ্ঠ ডেস্ক:

আপডেট: ২০২৪-০৭-২৭



নামাজে সুরা আগে-পরে হলে করণীয় ফাইল ছবি

সুরা ফাতিহার পর প্রথম রাকাতে সুরা ইখলাস পড়ে পরের রাকাতে সুরা ফালাক বা সুরা নাস পড়া যাবে কি? নামাজে সুরা ‘আগে-পরে’ পড়ার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা কি আবশ্যক? নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ার পর ফরজ কিংবা নফল নামাজের ক্ষেত্রে অনেকে একাধিক সমস্যায় পড়েন।

ইচ্ছাকৃতভাবে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে সুরা বা কিরাত পড়া মাকরুহ। তবে অনিচ্ছায় হলে মাকরুহ হবে না। কিরাতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার বিধান শুধু ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে। নফলের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য নয়। ‘দুররুল মুখতার’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, ‘নফল নামাজে ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে পড়া মাকরুহ নয়।’ মাকরুহ হলে শাস্তি পেতে হবে না, তবে এ ধরনের কাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

নামাজের রাকাতগুলোতে সুরা পড়ার ক্ষেত্রে মৌলিক কয়েকটি কথা স্মরণ রাখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যেমন সুরা ফাতিহা পড়ার পর প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বেন, পরের রাকাতে তার পরবর্তী সুরা পড়বেন। অথবা প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বেন, দ্বিতীয় রাকাতে দুই সুরা ছেড়ে দিয়ে তার পরের সুরা পড়া। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কুরাইশ পড়া যায়। অথবা প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দুই সুরা (মাউন, কাউসার) বাদ দিয়ে সুরা কাফিরুন পড়া যায়।

সুরা আগে-পরে পড়া

সুরা ফাতিহা পড়ার পর প্রথম রাকাতে যে সুরা পড়বেন, পরের রাকাতে তার পরবর্তী সুরা পড়বেন। কিন্তু প্রথম রাকাতে কোনো সুরা পড়ে পরের রাকাতে তার আগের কোনো সুরা পড়া মাকরুহ।

প্রথম সুরা শুরু করার সময় খেয়াল রাখতে হবে, যেন সেই সুরার পর পরের রাকাতে পড়ার মতো কোনো সুরা থাকে। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা হুমাজাহ পড়া মাকরুহ। কারণ, এতে কোরআনের সুরার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়। তবে এমনটা ভুলক্রমে ফেললে সমস্যা নেই।

উল্টোপাল্টা পড়া

সুরা ফাতিহা পড়ার পর সুরা মেলানোর ক্ষেত্রে প্রথম রাকাতে বড় কোনো সুরার মাঝখান থেকে কিছু অংশ পড়া এবং এরপরের রাকাতে আরেক সুরার মাঝখান থেকে পড়া উত্তম নয়। উত্তম হলো বড় সুরার যেখান থেকে শুরু করা হয়েছে, সেখান থেকেই তা ধারাবাহিকভাবে পড়ে নামাজ শেষ করা। এ ক্ষেত্রেও ভুলে উল্টাপাল্টা হয়ে গেলে সমস্যা নেই। তবে ইচ্ছা করে এমন করা যাবে না।

এক সুরা বাদ দিয়ে আরেক সুরা পড়া

এক সুরা পড়ার পর মাঝখানে এক সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়া মাকরুহ। তবে দুই সুরা বাদ দিয়ে পরের সুরা পড়াতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা ফিল পড়ার পর দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কুরাইশ বাদ দিয়ে সুরা মাউন পড়া মাকরুহ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সুরা কাউসার বা কাফিরুন বা এরপরের সুরাগুলো পড়া যায়। তবে ভুলে এমন হলে সমস্যা নেই।

সুরার অংশবিশেষ পড়া

সুরা নাসের আয়াতসংখ্যা ৬। কেউ এর প্রথম অংশ দিয়ে এক রাকাত পড়ে বাকি অংশ দিয়ে দ্বিতীয় রাকাতে পড়তে চাইলে খেয়াল রাখতে হবে, যেন কমপক্ষে তিন আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা হয়। তিন আয়াতের সীমা হলো কমপক্ষে ৩০ হরফ। কেউ যদি সুরা নাসের মতো করে নামাজ পড়ে, তবে তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। তবে উত্তম হলো পূর্ণ সুরা তিলাওয়াত করা।

কেউ কেউ ব্যতিক্রম সুরা পড়াকে মাকরুহ বলেন, আবার কেউ ধারাবাহিকতা রক্ষা করাকে ওয়াজিব বলেন। তবে এসবের যা-ই হোক না কেন, সবার নামাজই হবে।

 


A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: fwrite(): Write of 34 bytes failed with errno=122 Disk quota exceeded

Filename: drivers/Session_files_driver.php

Line Number: 265

Backtrace:

A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: session_write_close(): Failed to write session data using user defined save handler. (session.save_path: /var/cpanel/php/sessions/ea-php80)

Filename: Unknown

Line Number: 0

Backtrace: