Severity: Warning
Message: fopen(/var/cpanel/php/sessions/ea-php80/ci_session660edb3c28b01f24e6679397526ec52c181631fe): Failed to open stream: Disk quota exceeded
Filename: drivers/Session_files_driver.php
Line Number: 174
Backtrace:
File: /home8/kanthoco/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
Severity: Warning
Message: session_start(): Failed to read session data: user (path: /var/cpanel/php/sessions/ea-php80)
Filename: Session/Session.php
Line Number: 143
Backtrace:
File: /home8/kanthoco/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
আপডেট: ২০২৪-০৮-১৫
বর্তমান বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে এমন একজন প্রধান উপদেষ্টার প্রয়োজন ছিল যাঁর গ্রহনযোগ্যতা থাকার দরকার ছিল জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে অনন্য উচ্চতায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিঃসন্দেহে ও রকমই একজন মানুষ।একজন বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, সল্পভাষী, এবং অল্প যেটুকু বলেন, তার গভীরতা অনেক।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের জরুরী বিষয় হচ্ছে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, এবং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখনও মাঠে আছে, বাংলাদেশ পুলিশ দ্বায়িত্বে ফিরে আসতেছে, এ দুইয়ের সাথে সদিচ্ছা যোগ হলে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসা জাস্ট কিছু দিনের ব্যাপার। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে সদিচ্ছা থাকবে আকাশচুম্বী, সাথে থাকবে আমজনতার সহযোগীতা।
তাছাড়া যে কোন দেশের সেনাবাহিনীর সাথে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে অনেক ইস্যু থাকে এবং ওইসব ইস্যুতে আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা রাখার যেমন বিপুল সুযোগ রয়েছে তেমনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও জাতিসংঘ সহ পশ্চিমের নেক নজরে থাকার জন্য মাননীয় প্রধান উপদেষ্ঠাকেও সবোর্চ্চ সহযোগীতাই করবেন, অন্তত, যুক্তি তাই ই বলে। কেননা………। সুতরাং, বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সাথে সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের থাকবে মধুর সম্পর্ক; শান্তি-শৃঙ্খলা অবধারিত।
দেশের অভ্যান্তরীন অর্থনীতি অনেকটা দূর্বল অবস্থায় থাকলেও বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময়ে অর্থনীতিতে আস্থা ফিরে আসবেই। অনুকুল পরিবেশে দেশে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে যা পূর্বে অনেক অদৃশ্য হুমকি ও অনায্য সীমাবদ্তার কারণে স্থবির ছিল। তাছাড়া, বর্তমান সরকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সহ আরও বেশ কয়েকজন প্রথিতযশা এনজিও ব্যাক্তিত্ব রয়েছেন যাঁরা বাংলাদেশের অর্থনীতির মাঠঘাট পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে অবগত এবং সল্পমেয়াদী কার্যকর পলিসি গ্রহন করার মাধ্যমে এ অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার দ্রুতই উন্নতি ঘটাবেন বলে আমার বিশ্বাস।
রিজার্ভ নিয়ে দেশের অর্থনীতিবিদগন শংকায় আছেন। সম্প্রতি যেভাবে রিজার্ভ কমে আসছে এটা নিয়ে শংকা হওয়ার ই কথা।
তবে এ রির্জাভের ঘাটতির কারণে ব্যলান্স অব পেমেন্টের যে নেতিবাচক আশংকা আমরা করছি , সে আশংকা দূরীকরণে বর্তমান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ক্যাটালাইস্ট হিসেবেই কাজ করবেন । কেননা;
আন্তজার্তিক বিশ্বে অর্থনৈতিক দেনদরবারের ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক এবং পরিচিতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সাথে পশ্চিম ও ইউরোপের সাথে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। সেক্ষেত্রে ইউরোপ ও পশ্চিম থেকে অর্থনৈতিক সাপোর্ট পাওয়াটা অনেকটাই সহজ হবে।
আমার মনে আছে, মনোমোহন সিং যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন বিশ্বব্যাংক থেকে সবোর্চ্চ সহযোগীতা পেয়েছিল ভারত, এবং খুবই সহজ শর্তে। আর এর অন্যতম কারণ ছিল মনোমহন সিং অক্সফোর্ড থেকে অর্থনীতে পিএইচডি করেছিলেন এবং ওনার সহপাঠীরাই তখন World Bank, IMF ইত্যাদি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পদে দ্বায়িত্বে ছিলেন। আমাদের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার ও রয়েছে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক পরিচিতি ও প্রভাব, বলতে গেলে মনোমোহন সিং থেকে অনেক অনেক বেশি । তাই, বৈদেশিক সাহায্য সহযোগীতা পাওয়ার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধান উপদেষ্ঠার ভাবমূর্তির কারণে বাংলাদেশ অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। পশ্চিম ও ইউরোপের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগীতার অবাধ দুয়ার খুলবে বিধায় বাংলাদেশকে চীনের মুখাপেখী হতে হবে না, জাপান ও এগিয়ে আসবে সাচ্ছন্দে পশ্চিমা নেক নজর থাকায়। আর চীন মুখাপেখী না হওয়ার কারণে প্রতিবেশী ভারত থাকেব সস্থিতে। দ্বিপাক্ষিক লোনের চেয়ে World Bank, IMF ইত্যাদি অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের কর্জের খরচ অনেক কম। সুতরাং আমি আশাবাদী।
এখানে আরও একটি উল্লেখ্যযোগ্য দিক হলো, পলিটিক্যাল নেরেটিভ এর কারণে আমাদের দেশের রেমিটাররা দেশে কম রেমিট করত এবং সেক্ষেত্রে তারা অবৈধ পন্থাকে প্রায়োরিটি দিত। এ অবস্থা কেটে যাবে বিধায় বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বৃদ্ধি পাবে।
ড. আসিফ নজরুল স্যার সহ দুজন সমন্বয়ক সম্মানিত উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। উনাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষার রয়েছে গভীর সম্পর্ক। আমরা আশাবাদী এই তিনজন সম্মানিত উপদেষ্টা অন্য দায়িত্বের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেজুড়ভিত্তিক ছাত্ররাজনীতির অবসান ঘটিয়ে ছাত্রদের অধিকার আদায়ের সূতিকাগার ছাত্রসংসদ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করার মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আদর্শ বিদ্যাপীঠে রুপান্তর করবেন। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠিত বিষয়গুলো যেন জীবন ঘনিষ্ট হয়, গ্রাজুয়েশন শেষ করে প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন দেশের সম্পদে পরিণত হয় সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করব।
দেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোনার কোটা চালুর মাধ্যমে সকল শ্রেনীর মানুষের পদচারণা নিশ্চিত করার জন্য সচেষ্ট হবেন বলে আমি আশা করি।(ডোনার কোটাঃ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীরা ফ্রি পড়াশোনা করবে, সম্পদশালীর অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা টাকা দিয়ে পড়বে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকার সংস্থান হয় যা দিয়ে মেধাবীদের বৃত্তি দেয়া, গবেষনায় বরাদ্ব দেয়া যায়। আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গলোতে এ পদ্ধতি চালু আছে)।
বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিবিডেন্ট এ রয়েছে, সুতরাং সু-নাগরিক তথা বর্তমান চ্যালেন্জিং বিশ্বকে চ্যালেন্জ জানানোর উপযুক্ত গ্রাজুয়েট তৈরি করাই হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতার অন্যতম অর্জন।
সবশেষে, ভারত ও চীনকে মনে রাখতে হবে যে, #Bangladesh_Matters.
লেখকঃ
আরিফুর রহমান
সিনিয়র সহকারী সচিব
এম এস এস,(অর্থনীতি)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
Developed By Muktodhara Technology Limited.