আপডেট: ২০২৪-০৮-২৯
টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানির স্রোতে ফেন্সী বেগমের সাজানো সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেল। এখন নিঃস্ব হয়ে ফেন্সী বেগম পানি ভর্তি রাস্তার ওপর বসে আছে। আর বলছে ক্ষুধার যন্ত্রণায় আর ভালো লাগছে না। বিন্দুমাত্র কেউ আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না। শুনছি সবদিকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আর আমরা এতোদিন পানিবন্দী কেউ আমাদের দেখতে আসেনি। এ বুঝি আমাদের কপাল?
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১নং ওয়ার্ড) শাহ্পুর ও রাজীবপুর এলাকায় পানিবন্দী মানুষের খোঁজখবর নিতে গেলে চোখে পড়ে ফেন্সী বেগম নামের মধ্যে বয়সী এক নারী রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ওপরে বসে আছেন। তার দুই পা-পানিতে। মাথায় হাত। মুখে সীমাহীন কষ্টের চাপ। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি দুঃখপ্রকাশ করে কথাগুলো জানিয়েছেন।
ফেন্সী বেগম আরও বলেন, তার স্বামী, ছেলে-মেয়ে সবাই আছে। কিন্তু ঘরে নেই খাবার। থাকার ঘরটিও জীর্ণশীর্ণ। যেকোন সময় ঘরটি পড়ে যেতে পারে। ঘরের ভেতরে কোমর সমান পানি। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। কি খাবো? কই যাইবো? মাত্র এ দুইটি প্রশ্নের উত্তর এখন ফেন্সী বেগমের মুখে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, টেলিভিশনে দেখি সরকারি-বেসরকারি ভাবে সবদিকে পানিবন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আর আমাদের এদিকে হাজার-হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে ঘরবাড়ি চেয়ে অন্যত্র গিয়ে উঠছে। অনেকেই আবার মানুষের বাড়ীর ছাদে উপরে থাকছে। আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে জায়গা নেই। কিন্তু রাজীবপুর ও শাহ্পুর গ্রামের এদিকে এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে কাউকে।
লক্ষ্মীপুর ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া মুঠোফোনে জানান, যেসব এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি। আমরা তথ্য পেলেই ওইসব এলাকায় ত্রাণ পাঠানো ব্যবস্থা করবো। খুব দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে রাজীবপুর ও শাহ্পুর এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে।
Developed By Muktodhara Technology Limited.