আপডেট: ২০২৪-১০-২৫
'খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে' বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মোহাম্মদ মামুনুল হক চৌধুরী।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শাপলা চত্বরে আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি এবং নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে এ গণ-সমাবেশের আয়োজন করে লক্ষ্মীপুর জেলা খেলাফত মজলিস।
মামুনুল হক বলেন, বিগত ১৫ বছর যাবত ভারত শেখ হাসিনার সাথে সম্পর্ক করেছে। এ সম্পর্ক গড়তে গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আহত করেছে। তারা দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশের মানুষকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে অধিকার হারা করেছে। আর ভারত নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য শেখ হাসিনাকে এদেশের ক্ষমতায় রেখেছিলো। এখন সে খুনি শেখ হাসিনা। যার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বাংলাদেশের আদালতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে। সেই গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রাপ্ত খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের আইনী শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
এসময় অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিশ্বের সহযোগিতা নিয়ে হলেও যেকোন মূল্যে এ সকল হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করে হলেও খুনি শেখ হাসিনাসহ তার সকল দোসরদের ধরে এনে বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে।
মামুনুল হক আরো বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে এখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা চালানোর পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, যেদেশের ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার উদ্ঘাটনের জন্য হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। শুধুমাত্র জুলাই-আগস্টের আন্দোলনসহ ১৬শ ৩২জন মানুষকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরো কত অসংখ্য মানুষ ঘুমের শিকার হয়েছে, তাদের লাশ পর্যন্ত পরিবার পায়নি। এভাবে বিগত ১৫ বছর গুম-খুন করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এদেশের ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিলো।
তিনি বলেন, দেশের অর্থ পাচার করে বাংলাদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে শেখ হাসিনা। মেঘা প্রকল্পের নামে, মেঘা দূর্নীতি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এভাবেই বাংলাদেশকে অন্তসার শূন্য করে একটি পরনির্ভরশীল দেশ এবং জাতি হিসেবে অস্তিত্বকে বিপন্ন করাই ছিল শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য।
শেখ হাসিনা মূলত প্রতিশোধের রাজনীতি করেছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পিতা হত্যার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলো এদেশের মানুষের কাছ থেকে, এমনকি নিজের দল আওয়ামীলীগ থেকেও। তাকে আর এদেশের ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না। এজন্য সকল রাজনীতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অন্তবর্তিকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ এবং তাদের রাজনীতি ছিল সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি। তাই শুধু ছাত্রলীগ নয়, আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজিনীতি থেকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তিনি।
গণসমাবেশে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাও জালালুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাও আতাউল্লাহ আমিন, তোফাজ্জল হোসেন মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও মোহাম্মদ ফয়সাল, মাও আজিজুর রহমান হেলাল, আবু সাইদ নোমান ও ওযায়ের আমিন প্রমূখ
Developed By Muktodhara Technology Limited.