আপডেট: ২০২৪-১২-২০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যে তদন্ত চলছে তাতে ব্রিটিশ শ্রমমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের নাম জড়িয়েছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন এই তদন্ত পরিচালনা করছে।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সদস্য, এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থ ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন, যেখানে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল। এই সংবাদে তোলপাড় ব্রিটিশ গণমাধ্যম। বিবিসির পাশাপাশি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট, দ্য টেলিগ্রাফ ও ডেইলি মেইল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি রাজনীতিক ববি হাজ্জাজের বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু হয়েছে। টিউলিপের মা শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং তার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুদক।
তবে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিবিসিকে বলেছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ‘পুরোপুরি অসত্য’ এবং ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। সূত্রটি আরও বলেছে, টিউলিপ এবং তার খালা শেখ হাসিনার ক্ষতির জন্য এ অভিযোগ ‘সাজানো’ হয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিউলিপের ওপর প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের আস্থা রয়েছে এবং দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপগুলোর দেখাশুনো করার ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব অব্যাহত থাকবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সাথে এ ইস্যুতে কথা হয়েছে টিউলিপি সিদ্দিকের এবং দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার যে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে, সেসবের সঙ্গে সে সবে তার ‘কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা’ নাকচ করেছেন টিউলিপ।
বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থেকে তিনি বিরত ছিলেন বলেও বিবিসিকে জানিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখপাত্র।
Developed By Muktodhara Technology Limited.